,

চুনারুঘাটে মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার বনগাঁও গ্রামে সৎ পিতার বাড়ীতে অন্তর মিয়া (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মাদ্রাসা ছাত্র অন্তরের পিতার দাবী মা ও সৎ পিতা তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে পরস্পর বক্তব্য পাওয়া গেছে। অন্তরের পিতা আমেরিকা প্রবাসী ফরিদ মিয়া জানান, আজ থেকে ১৪ বছর আগে বনগাঁও মাসুকা আক্তার পপি (৩২) কে বিয়ে করেন। তাদের কোল জোরে অন্তর মিয়া নামে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। কিছু দিন পর তিনি আমেরিকা চলে যান। এই সুবাদে বনগাঁও গ্রামের কণা মিয়ার পুত্র সেলিমের সাথে পরকিয়া প্রেমে সর্ম্পক গড়ে তুলে। একজন আরেকজনকে কাছে পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে প্রেমের টানে প্রবাসীর ঘর ছাড়তে বাধ্য হয় পপি। তাই প্রবাসী ঘর ও একমাত্র পুত্র কে ফেলে পপি ও সেলিম কোর্টে গিয়ে এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিয়ে করে সেলিমের বাড়ীতে চলে যায়। খবর পেয়ে ফরিদ দেশে ফিরে আসে। এসে পপিকে ২য় স্বামী সেলিমের ঘর থেকে পপিকে পিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালায়। কিন্তু পপি কিছুতেই ফরিদের ঘরে আসতে রাজী নয়। এদিকে অন্তর মাকে হারিয়ে দিন দিন অসুস্থ্য হয়ে পরে। কিন্তু হতভাগা পিতা ফরিদ সন্তানের এ দৃশ্য দেখে মানুষিক ভাবে বিপদগ্রস্থ হয়ে পরে। কোন পথ না পেয়ে নিরুপায় হয়ে অন্তর কে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে সেলিম ও তার মা পপির কাছে লালন পালনের দায়িত্ব দেয় ফরিদ। গত বৃহস্পতিবার পপি ফরিদকে ফোন করে জানায় অন্তর পানিতে পরে অসুস্থ্য হয়েছে। তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। এ খবর শুনে ফরিদ পাগলের মত সেলিমের বাড়ীতে গিয়ে দেখে লাশ তরিগড়ি করে দাফনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তার সন্দেহ হয়। চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ দিলে এস.আই হারুন আল রশিদ লাশ সুরুত হাল রিপোর্ট তৈরী করে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ফরিদ হাসপাতালে লাশের পাশে আহাজারি করে জানায়, তার বুকের ধন কে সেলিম ও পপি হত্যা করেছে। এবং বিষয়টি দামাচাপা দেওয়ার জন্য লাশ তড়িঘরি করে দাফন করতে চেয়েছিল। তিনি আরো জানান, ঘটনাদিন গত বৃহস্পতিবার সকালে তার ছেলে মারা গেছে কিন্তু তাকে খবর দেওয়া হয়েছে বিকালে। এর কারণ কি ছিল তার প্রশ্ন। এদিকে পুলিশের ভয়ে পপি ও তার ২য় স্বামী আত্মগোপন করেছে। তবে পুলিশ বলছে ময়না তদন্ত রিপোর্ট চারা এই মহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্ত শেষে পিতার জিম্মায় অন্তরের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে চুনারুঘাটে তুলপার শুরু হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর